জয়চন্ডী পাহাড় পুরুলিয়া জেলায় অবস্থিত। ছোটোনাগপুর মালভূমির একটি অংশের মধ্যে পড়ে এই পাহাড়। পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জয়চন্ডী পাহাড়। কলকাতা থেকে এত কাছে এরকম একটা পাহাড়ি পরিবেশে, এত সুন্দর একটা পর্যটনকেন্দ্র সকলকে অবাক করে দেবে। প্রত্যেকেরই সুযোগ পেলে এখান থেকে একবার ঘুরে আসা দরকার।
আসানসোল-আদ্রা বিভাগে একটি স্টেশন হলো জয়চন্ডী পাহাড় রেলস্টেশন। চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশ ছবির শুটিং এখানে হয়েছিল।
জয়চন্ডী পাহাড়ে কীভাবে যাবেন ?
হাওড়া থেকে ট্রেনে সাড়ে সাড়ে ৪ ঘন্টায় আদ্রা স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া যাই। নেমে ওখান থেকে অটো করে ২৫/৩০ মিনিটে খুব সহজেই জয়চন্ডী পাহাড়ে পৌঁছে যাওয়া যায়।
হাওড়া থেকে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস (০৪.৫০), হাওড়া চক্রধরপুর এক্সপ্রেস বা বোকারো স্টিল সিটি এক্সপ্রেস (১২.০৫) এবং সাঁতরাগাছি থেকে রূপসী বাংলা (০৬.২৫) ও শালিমার ভজুডিহি আরণ্যক এক্সপ্রেসে (০৭.৫৮ রবিবার বাদে) যাওয়া যায়।
এছাড়া সড়কপথে বর্ধমান, দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ, মেজিয়া, শালতোড়া, রঘুনাথপুর হয়ে অথবা আসানসোল, বার্নপুর, গড় পঞ্চকোট হয়ে জয়চন্ডী পাহাড় –এ পৌঁছে যাওয়া যায়। ট্রেনের টিকিটের জন্য খোঁজখবর – https://www.irctc.co.in
জয়চন্ডী পাহাড়ের কাছে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা?
জয়চন্ডী পাহাড় বেড়াতে গেলে সবচেয়ে ভালো থাকার জায়গা হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত যুব আবাস। এখানকার প্রতিটি ঘর থেকে চোখ ভরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। কাছাকাছি কোনো রেস্টুরেন্ট বা দোকান না থাকলেও যুব আবাসের ক্যান্টিনে খুব সহজেই অর্ডার অনুযায়ী খাবার পাওয়া যায়। তবে অফ সিজনে প্রায়ই ক্যান্টিন বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে যুব আবাসের অফিসে যোগাযোগ করলে ওনারা সব ব্যবস্থা করে দেন। তবে জয়চন্ডী পাহাড়ে ওঠার যে প্রবেশ দ্বার আছে সেখানকার কিছু জলখাবারের যে দোকান আছে সেখানে যোগাযোগ করলে ওরাও জলখাবার, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার সব ব্যবস্থা করে দেয়।
প্রায় ১৬০ জনের উপর পর্যটক এখানে বিভিন্ন মানের ঘর নিয়ে থাকতে পারে। অনলাইনে সহজেই এই যুব আবাস বুক করা যায়। আর অফলাইনে করতে গেলে কলকাতার মৌলালী থেকে বুক করা যায়। (website:- youthhostelbooking.wb.gov.in) ।
এছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। (জয় মা চন্ডী পার্বত্য রিসোর্ট, হোটেল স্বপ্ন ভুবন, রয়েল বেঙ্গল লজ, পঞ্চবটি লজ ইত্যাদি)
জয়চন্ডী পাহাড় যাওয়ার উপযুক্ত সময়:-
ভ্রমণ পিপাসু মানুষ তো সারা বছরই বেড়াতে ভালবাসে তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানকার পরিবেশ দারুণভাবে উপভোগ করা যায়।