গ্যাংটক | ছাঙ্গু | নাথুলা | বাবা মন্দির | Gangtok | Changu | Nathula | Baba Mandir

গ্যাংটক | ছাঙ্গু | নাথুলা | বাবা মন্দির | Gangtok | Changu | Nathula | Baba Mandir

গ্যাংটক হলো সিকিমের রাজধানী। পূর্ব হিমালয় পর্বতশ্রেণির শিবালিক পর্বতের ৫৫০০ ফুট উচ্চতায় গ্যাংটক শহরটি অবস্থিত। গ্যাংটক নামের অর্থ হলো পাহাড়ের চূড়া। পুরো গ্যাংটক শহরটাই পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছে। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে গ্যাংটক কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা এক অভূতপূর্ব উপলব্ধি।এখানে একদিকে যেমন রয়েছে শহুরে জীবনের সবরকম উপাদান তেমনি রয়েছে পাহাড়ি পথ, ঝরনা, জঙ্গল যা সবটাই উপভোগ করার মতো। এই শহরে মূলত প্রধান বাসিন্দা হলো নেপালি, লেপ্চা ও ভুটিয়া। মার্চ থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফুটে ওঠা বুনো রোডোডেনড্রন আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে রঙিন কার্পেটের বিশাল মাঠে রূপান্তরিত করে।

গ্যাংটক | ছাঙ্গু | নাথুলা | বাবা মন্দির | Gangtok | Changu | Nathula | Baba Mandir

গ্যাংটক এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক আকর্ষণ রয়েছে যেমন ঐতিহ্যপূর্ণ রুমটেক গুমফা, এনচে গুমফা, রাংকা গুমফা, বন ঝাকরি জলপ্রপাত, তাশি ভিউ পয়েন্ট, কাঞ্চনজংঘা ন্যাশনাল পার্ক, চোগিয়াল রাজবাড়ি এবং পাখি ও অর্কিড দেখার জন্য ফামবং-লো অভয়ারণ্য।

গ্যাংটক | ছাঙ্গু | নাথুলা | বাবা মন্দির | Gangtok | Changu | Nathula | Baba Mandir
ছাঙ্গু লেক

 গ্যাংটক থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছাঙ্গু লেক যদিও এর আসল নাম সোমগো। ভুটিয়া ভাষায় সোমগো কথার অর্থ জলের উৎস। ১২৪০০ ফুট উচ্চতায় বরফ গলা জলে পুষ্ট লেকটির নীল জল পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শীতের সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাদা বরফের চাদরে মোড়া থাকে এই লেক। এসময় ইয়াকের পিঠে চড়ে ঘুরে নেওয়া যায় পুরো লেকটি।

গ্যাংটক | ছাঙ্গু | নাথুলা | বাবা মন্দির | Gangtok | Changu | Nathula | Baba Mandir

 গ্যাংটক থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছাঙ্গু লেক যদিও এর আসল নাম সোমগো। ভুটিয়া ভাষায় সোমগো কথার অর্থ জলের উৎস। ১২৪০০ ফুট উচ্চতায় বরফ গলা জলে পুষ্ট লেকটির নীল জল পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শীতের সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাদা বরফের চাদরে মোড়া থাকে এই লেক। এসময় ইয়াকের পিঠে চড়ে ঘুরে নেওয়া যায় পুরো লেকটি।

গ্যাংটক | ছাঙ্গু | নাথুলা | বাবা মন্দির | Gangtok | Changu | Nathula | Baba Mandir

 নাথুলা পাস থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ১৩১২৩ ফুট উচ্চতায় মৃত ভারতীয় সেনা হরভজন সিংয়ের স্মৃতি মন্দির অবস্থিত।যা কিনা বাবা মন্দির নাম পরিচিত। ১৯৬৮ সালে মাত্রা ২২ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। “নাথুলার বীর” হিসাবে ভারতীয় সৈন্যরা তাঁকে সম্মান করেন এবং বিশ্বাস করেন যে তাঁর আত্মা এখানকার প্রতিটি সৈনিককে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেন ও তাদেরকে  কৃপা দৃষ্টিতে দেখেন। মৃত্যুর পরেও এভাবে তিনি  দেশকে রক্ষা করেন বলে মনে করা হয়।  যা কিনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম ঘটনা।

কীভাবে যাবেন ?
হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে ওখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে গ্যাংটক যাওয়া যায়। ভাড়া প্রায় ৩০০০ টাকা মতো। আর  গ্যাংটক-ছাঙ্গু -নাথুলা-বাবা মন্দির শেয়ার গাড়িতে যেতে মাথা পিছু ১২০০ টাকা মতো পড়ে । তবে সোমবার ও মঙ্গলবার নাথুলা পাস বন্ধ থাকে, সেই বুঝেই ট্যুর করা প্রয়োজন। 

Leave a Comment